ঢাকায় রিক্সা শেয়ার এবং ভদ্র পতিতার পাল্লায় বন্ধু

অপরিচিত কোন মেয়েদের সাথে রিক্সা শেয়ার করছেন কখনো??

ঢাকায় এমনটা প্রতিনিয়ত না হলেও, একেবারেই যে হয় না তা কিন্তু নয়। অপরিচিত নারী-পুরুষের সাথে রিক্সায় ভাগাভাগি করে বসার অভিজ্ঞতা অনেকেরই হয় তো আছে।

সায়েন্স ল্যাব থেকে কলাবাগান যাওয়ার জন্য রিক্সা পাচ্ছিনা। পিছন দিক থেকে একটা রিক্সা আসায় ঈশারায় দাড় করালাম। কলাবাগান যাবেন কিনা জিজ্ঞেস করতেই উরে এসে জুরে বসার মত একটা মেয়ে রিক্সায় উঠে পরলো।


- কাজ কি হলো?

: ভাইয়া, রিক্সা খুজে পাচ্ছি না।

- আমি কি আপনার জন্য রিক্সা খুজতে বাসা থেকে বের হয়েছি?

- প্লিজ, আপনি অন্য রিক্সা দেখেন... না।

- প্লিজ, আপনি নামেন না...... অন্য রিক্সা খুজে নিন। না হলে আমার সাথে রিক্সা শেয়ার করে যেতে পারেন, আমি কলাবাগান যাব।

- আমিও কলাবাগান যাচ্ছি, কিন্তু একসাথে রিক্সায়.... ঠিক আছে চলেন।

মেয়েটা জিন্স প্যান্ট, টি-শার্ট পরা, ওড়না ছাড়া না হলে আমি রিক্সা ছেড়ে অন্য রিক্সা খুজে নিতাম। পর্দাশীল কোন বোন হলে হয়তো নিজে রিক্সা খুজেও দিতাম। কিন্তু এই শ্রেনির মেয়েদের রিক্সা শেয়ার করতে কোন অসুবিধা হবে বলে মনে হয় না।

আমার পরিচিত এক কন্ট্রাকটর বড় ভাই প্রতিষ্ঠিত বড় প্রতিষ্ঠানের টেন্ডার পাওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানে বড় কর্মকর্তার কাছে দেখা করতে গেল। লাখ খানেক টাকায় দফা রফা হয়ে গেল। মাস খানেক পরই সেই কন্ট্রাকটর অন্য অফিসে গেল ট্রেন্ডার সাবমিট করতে। কর্মকর্তার টাকায় দফা-রফায় রাজি নয়, তিনি ঘুষ খাবেন না। কিন্তু শর্ত সাপেক্ষে রাজি হলেন। তার ছেলে মার্কেটে বাইক পছন্দ করে এসেছে, ওটা কিনে দিতে হবে। যাক এটাও ম্যানেজ করতে খুব বেশি সময় লাগলো না।

আমার এক বন্ধু, বলতে পারেন ল্যাংটা কালের দোস্ত। ওর আবার চরিত্রের দোষ আছে। কলেজ লাইফের শুরু থেকেই হোটেলের মেয়ে (আধুনিক ভাষায়- কলগার্ল, সহজ বাংলায় পতিতা, বেশ্যা) দের সাথে খুব একটা জানা শোনা। প্রায় রাতেই শুনি দোস্তটা কোন না কোন মেয়েকে নিয়ে আনন্দেই আছে।

মাসেখানে দোস্তটার কথায় বন্ধুদের মধ্যে আলোরন সৃষ্টির পালা। বন্ধুটা নাকি কোন মেয়ে দেখে ক্রাশ খাইছে।

ক্রাশ খাইছে ভাল কথা, কিন্তু সব বন্ধদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ। এর মানে কি?

একদিন অনেক অনুরোধ করে হাতিরঝিলে বন্ধুদের আড্ডায় রাজি হলো। ওর সবারই একই প্রশ্ন, ঘটনা কি?

-শোন, অনেক কষ্ট করে মেয়েটার মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করেছি। আমার সাথে তো দেখা করতেই চায় না। তারপর হঠাৎ করে নিজে থেকেই বললো রমনায় দেখা করবে। দেখা করলাম, ওকে যতই দেখছি ততই ভালো লাগছে, ভাবছি ওকে নিয়েই থাকবো। এখন আর হোটেলে যাই না।

বন্ধুটা হোটেলের মেয়েদের কাছে যায় না, ওদের ভুলতে পারছে বলে খুশি হলাম। ওর সাথে কি শুধু ফোনেই কথা হয়?

- না শুধু ফোনে কথা হবে কেন? তোরা তো জানিস ঢাকায় একা একটা ফ্ল্যাট নিয়ে থাকি, ওকে বললাম সময় করে একদিন ফ্ল্যাটে আসতে, কিন্তু ও রাজি হয় না। হঠাৎ একদিন সকাল থেকে ওর ফোন বন্ধ, অনেকবার ট্রাই করেও পাচ্ছিলাম না। অনেক্ষনপর ও অপরিতিন একটা নাম্বার থেকে ফোন করে জানালো- ওর ফোন চুরি হয়ে গেছে, সেদিন মার্কেটে আইফোন-৫ পছন্দ করে আসছি কিন্তু টাকা না থাকায় কিনতে পারি নি। তুমি এক কাজ করো, ওটা কিনে রাখো আমি সন্ধ্যায় তোমার বাসায় আসবো, আম্মু-আব্বু ঢাকার বাইরে গেছে, রাতে থাকবো।

বন্ধুটার কথায় আমার সববন্ধুদের একত্রে প্রচন্ড ক্রাশ খেতে হলো। একজন বলেই ফেললো- তুইতো Call Girl ছেড়ে Prostitute Girl এর পাল্লায় পরেছিস।