ফেসবুক ভাইরাল হওয়া মহিলা পুলিশের ছবি

এক নারী পুলিশ সদস্য বাচ্চা কোলে নিয়ে ডিউটি করছেন, নিচের এই সংগৃহীত ছবিটা কয়েকদিন আগে ফেসবুকে পোষ্ট করি। ছবিটা ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়ে আছে। আর ভাইরাল তো হবেই, একটা মানুষ তার দায়িত্ব (ডিউটি) এবং কর্তব্য (বাচ্চা) একই সাথে পালন করছেন।
ছবিটা সমালোচিতও কম হয়নি। আমার পোষ্টে একজন মন্তব্য করেছেন- তখন তিনি পুলিশ ছিলেন না, ছিলেন মা।




আমরা অনেককিছুই পজিটিভ ভাবে নিতে পারি না। একটা সময় কোন মেয়ে যে কোন চাকরী নিলেই আমরা খারাপ ভাবে দেখলাম। ধারনা ছিলো সে তার পরিবারের গুরুত্ব কম দিয়ে চাকরী করছে। হুম, এমনটা আমাদের সমাজে কম নেই। অনেক মা বাবা আছেন যারা সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত বাইরে কাজ করেন। বাচ্চাকে খুব একটা সময় দিতে পারেন না বলেই চলে। ও হ্যাঁ, আমি কিন্তু মা এবং বাবা দুজনকেই উল্লেখ্য করেছি। বাচ্চাকে সময় দেয়া শুধু মায়ের কাজ না, বাবাকেও এটা মাথায় রাখতে হবে।

ওই পুলিশ আপুটা বাচ্চাকে সময় না দিয়ে ঠিকমতই ডিউটি করতে পারতেন। সেক্ষেত্রে তার বাচ্চাকে অবশ্যই চাইল্ড কেয়ারে অথবা কাজের লোকের কাছে রেখে আসতে হতো। তাছাড়া তার যদি বাসায় রাখার মত (বাচ্চার- দাদী, নানী, ফুফু, খালা) কেউ থাকতো তাহলে অবশ্যই তিনি বাচ্চাকে রোদ বৃষ্টিতে নিয়ে বের হতেন না।
.
বন্ধু মহলের যাদের মা শিক্ষকতা করেন, তারা বিষয়টা খুব ভালো ভাবেই জানেন। তারা মোটামুটি দেড়-দুই বছর বয়স থেকেই মায়ের সাথে স্কুলে এবং ক্লাশে যায়। এছাড়া ব্যবসায়ী বাবার সাথে ব্যবসা ক্ষেত্রে তো টুকটাক সবাই যায়।
উদাহরন মিলছে না?
ও, তাহলে আরেকটা দিচ্ছি।
সরকারী চাকুরীজীবি বাবার অফিসের নির্ধারিত গাড়ীতি স্কুলে যাওয়াটা কিন্তু নতুন না। কিংবা অফিস থেকে পাওয়া মটরসাইকেলে প্রেমিকাকে ভার্সিটিতে পৌঁছে দেয়াটা।
.
এবার মিলছে?
উক্ত নারী পুলিশ যদি ডিউটি ফাঁকি দিয়ে বাচ্চার সাথে আইসক্রিম খেতেন কিংবা টুকি টুকি খেলতেন সেটার সমালোচনা করা যেত। কিন্তু তিনি যা করেছেন তার সমালোচনার সাহস পর্যন্ত মনে জাগা উচিত না। তার প্রতি শুধুই শ্রদ্ধা। তিনি একটা উদাহরন, একসাথে দায়িত্ব এবং কর্তব্য পালনের উদাহরণ